রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৭ অপরাহ্ন
রাজাপুর সংবাদদাতা॥ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার আলেয়া বেগমের নামে ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে ভিজিডির চাল উত্তোলন করা হচ্ছে। কিন্তু খাতা-কলমে সুবিধাভোগী আলেয়া বেগম জানেন না তার নামে ভিজিডির চাল উত্তোলন করা হয়।আলেয়া বেগম উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাহান গাজীর স্ত্রী। ভিজিডির একটি কার্ডের জন্য মাসের পর মাস স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্ণা দিয়ে হয়রান হয়ে চালের আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। পরে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তার নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং নিয়মিত তার নামে ৩০ কেজি করে চাল উত্তোলন করা হয়েছে।
আলেয়া বেগম জানান, চলতি বছর নতুন ইউএনও যোগদানের পর জানতে পারেন, ভিজিডির তালিকায় বিধি লঙ্ঘন করে নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফলে ৫১৩টি কার্ডের মধ্যে ৮৪টি বাতিল করে নতুন করে তালিকা করতে পুনরায় বাছাই করা হয়। এবারের প্রাথমিক বাছাই তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর চূড়ান্ত বাছাইকালে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তার নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং নিয়মিত তার নামে ৩০ কেজি করে চাল উত্তোলন করা হয়েছে।তবে কে, কীভাবে তার নামে চাল উত্তোলন করল, জানতে পারেননি আলেয়া বেগম। তিনি শুধু জানতে পেরেছেন, ওই ব্যক্তির সিরিয়াল নম্বর ছিল ৩৪৯। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার চেয়ে তিনি ইউএনও বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।
ভুক্তভোগীদের দাবি, স্থানীয় ইউপি সদস্যের যোগসাজশে কয়েকটি মহল উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদেই এভাবে অবহেলিত, দরিদ্র ব্যক্তিদের নামে কার্ড তৈরি করে মাসে নিয়মিত চাল উত্তোলন করে বিক্রি করে দিচ্ছেন।ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর খান জানান, আলেয়া বেগমের নাম তালিকায় ছিল কি-না তা তার জানা নেই। তার নামে কে চাল উত্তোলন করছেন, তাও তিনি জানেন না।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) সোহাগ হাওলাদার জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণের অভাবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Leave a Reply